রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সর্বাবস্থায় পবিত্র থাকার ফজিলত

আবরার নাঈম:
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও বিভিন্ন নফল নামাজের আদায়ের জন্য আমরা অজু করে থাকি। কারণ নামাজের পূর্ব শর্ত হলো- পবিত্রতা। আর পবিত্রতা হাসিলের মাধ্যম হচ্ছে- অজু। যেমন হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সদকাও কবুল হয় না।’ -ইবনে মাজাহ : ২৭২

পবিত্রতা অর্জনকারীদের প্রশংসা

মদিনার পার্শ্ববর্তী কুবা এলাকার অধিবাসীরা প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতেন। তাদের প্রশংসা করে আল্লাহতায়ালা বলেন, তাতে এমন সব লোক রয়েছে; যারা উত্তমরূপে পবিত্র হওয়াকে ভালোবাসে। আর যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। -সুরা তওবা : ১০৮

অন্যত্র আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের পছন্দ করেন এবং পছন্দ করেন উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জনকারীদের। -সুরা বাকারা : ২২২

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হওয়ার কারণ

অজুর মাধ্যমে চেহারা ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। যে যতবেশি অজু করবে কেয়ামতের দিন তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য ততই বৃদ্ধি পাবে। অজুর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে এবং সেই উজ্জ্বলতা দেখে নবী কারিম (সা.) তার উম্মতকে চিনতে পারবেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত নুয়াইম আল মুজমির (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। অতঃপর তিনি অজু করে বললেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কেয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হবে যে, অজুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে। -সহিহ বোখারি : ১৩৬

অজুর মাধ্যমে গোনাহ ঝরে যায়

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো মুমিন অথবা মুসলিম বান্দা অজু করে এবং মুখমণ্ডল ধোয়, তার মুখমণ্ডল থেকে তার চোখের দ্বারা কৃত সব গোনাহ পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে দূর হয়ে যায়। যখন সে তার দুই হাত ধোয়, তার দুই হাতে কৃত সব গোনাহ তার হাত থেকে পানির সঙ্গে অথবা পানির অবশিষ্ট বিন্দুর সঙ্গে দূরীভূত হয়ে যায়। অতঃপর সে সব গোনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়। -সুনানে তিরমিজি : ২

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION